দৈনিক খবর একদিন ধর্মপাতা: অধীনদের প্রতি সদয় হও: মারুর (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একবার রাবাজা নামক স্থানে আবু জর (রা.)-এর সঙ্গে দেখা করলাম। তখন তাঁর পরনে ছিল এক জোড়া কাপড় (লুঙ্গি ও চাদর) আর তাঁর দাসের পরনেও ছিল একই ধরনের এক জোড়া কাপড়। আমি তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, একবার আমি এক ব্যক্তিকে গালি দিয়েছিলাম এবং আমি তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছিলাম। তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাকে বলেন, আবু জর! তুমি তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছ? তুমি তো এমন ব্যক্তি, তোমার মধ্যে এখনো অন্ধকার যুগের স্বভাব বিদ্যমান। জেনে রেখো, তোমাদের দাস-দাসী তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাআলা তাদের তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন।
তাই যার ভাই তার অধীনে থাকবে, সে যেন নিজে যা খায় তাকে তা-ই খাওয়ায় এবং নিজে যা পরিধান করে, তাকেও তা-ই পরায়। তাদের ওপর এমন কাজ চাপিয়ে দিয়ো না, যা তাদের জন্য অধিক কষ্টদায়ক। যদি এমন কষ্টকর কাজ করতে দাও, তাহলে তোমরাও তাদের সে কাজে সহযোগিতা করবে। (বুখারি, হাদিস : ৩০)
নিজেদের মধ্যে সংঘাত নয়
আহনাফ ইবনে কায়স (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি (সিফফিনের যুদ্ধে) এক ব্যক্তিকে [আলী (রা.)-কে] সাহায্য করতে যাচ্ছিলাম। আবু বাকরাহ (রা.)-এর সঙ্গে আমার দেখা হলে তিনি বলেন, ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ?’ আমি বললাম, ‘আমি এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘ফিরে যাও। কারণ আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘দুজন মুসলমান তাদের তরবারি নিয়ে মুখোমুখি হলে হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয়ে জাহান্নামে যাবে।’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! এ হত্যাকারী (তো অপরাধী), কিন্তু নিহত ব্যক্তির কী অপরাধ? তিনি বলেন, (নিশ্চয়ই) সেও তার সঙ্গীকে হত্যা করার জন্য উদগ্রীব ছিল।’ (বুখারি, হাদিস : ৩১)
শিরক সবচেয়ে বড় অন্যায়
সুরা আনআমের ৮২ নম্বর আয়াত অবতীর্ণ হলে সাহাবিরা বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে জুলুম করেনি?’
তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন, ‘নিশ্চয়ই শিরক হচ্ছে অধিকতর জুলুম (অন্যায়)।’ (সুরা : লুকমান, আয়াত : ১৩) (বুখারি, হাদিস : ৩২)