ঢাকাসোমবার , ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  1. আইন-আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কুড়িগ্রাম
  5. কৃষি
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. খেলা
  9. গাইবান্ধা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. ঠাকুরগাঁও
  13. তথ্যপ্রযুক্তি
  14. দিনাজপুর
  15. নীলফামারী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারতের উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল বীজ বাংলাদেশে অবমুক্তিতে সহযোগিতা কামনা কৃষিমন্ত্রীর

একদিন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪ ২:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ ভারতের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের উচ্চফলনশীল বীজ বাংলাদেশে অবমুক্তি, চাষ ও উৎপাদনের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি এ সময় সীমান্তমুক্ত বীজের প্রস্তাবও দেন।
আজ সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী এ সহযোগিতা কামনা ও প্রস্তাব দেন। এ সময় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, ফসলের উন্নত জাতের বীজ সীমান্তমুক্ত থাকলে আমরা উৎপাদন আরো বাড়াতে পারব। খাদ্যে উদ্বৃত্ত হওয়াও সম্ভব হবে। তিনি বলেন, কৃষি গবেষণায় আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাই। দেশে কৃষি গবেষণার সুযোগসুবিধা ও বিজ্ঞানীর সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বৈঠকে দুই দেশের কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এছাড়া সেচকাজে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বাংলাদেশকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞামুক্ত রেখে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
বৈঠকে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতেও মাঝেমধ্যে কোন কোন পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়, দাম বেড়ে যায়। সেজন্য অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক সময় বিশেষ ছাড় বা স্পেশাল এক্সেমশন দেওয়া হয়ে থাকে।
কৃষি গবেষণা জোরদার করতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করার উপরও গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে। শিগগিরই উচ্চপর্যায়ের সাইন্টিফিক ভিজিটের মাধ্যমে গবেষণার অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা সবসময় আমাদের পাশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। প্রায় ১ কোটি মানুষকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিল, বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছিল, কখনো মনে হয়নি আমরা রিফিউজি হিসাবে ভারতে আছি।