নাজমুল হোসেন,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : বাড়ির সামনে ছোট্ট উঠানে শোভা পাচ্ছে নানান রকম সবজির গাছ যা পারিবারিক পুষ্টি বাগানে পরিনত হয়েছে। যা পরিবারে এনে দিয়েছে দৈনন্দিন সবজির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাড়তি আঁয়ের সুযোগ। এসব বাগানের বীজ, সার, বেড়া, পোকার ফাঁদসহ সবকিছুরই জোগান দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে পারিবারিক পুষ্টি বাগানে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি একদিকে যেমন পুষ্টির চাহিদা মিটছে, অন্যদিকে বাড়তি ফসল বিক্রি করে আয়ও হচ্ছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পে’র আওতায় এ উপজেলায় তৈরি হয়েছে এসব সবজির বাগান।
পাটগাঁও এলাকার বাসিন্দা মাইনুউদ্দীন জানান,বাড়ির আঙিনায় পুষ্টি বাগান স্থাপনের জন্য সয়েল বেড তৈরি করি। অফিসের দেওয়া বিভিন্ন জাতের বীজ সেইসব সেডে রোপণ করি। এখন আমার বেডে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি লাগানো হয়েছে। এ ছাড়াও বেডের দু’পাশে দেয়া মাচায় লাউ, শিম,করলা, ইত্যাদির চাষ এবং বেডের অন্য দুই পাশে ফলের গাছ রোপণ করা হয়েছে। এতে করে পুরো মৌসুমে সবজি কিনতে হয়নি। এ ছাড়াও বাড়তি শাক-সবজি বিক্রি করে আয় হয়েছে।
নন্দুয়ার ইউনিয়নের হাসান ও সাইফুল জানান, এ বাগানের সবজি নিজের পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আত্নীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশীদের দেওয়া যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ‘বসতবাড়ির আঙিনায় ও অনাবাদি পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এসব পুষ্টি বাগান করা হয়েছে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, অনাবাদি ও পতিত জমির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় বসত বাড়ির আঙ্গিনার জমিতে এই পুষ্টি বাগান করা হয়েছে।এ বাগানের সবজি-
গুলো বিষমুক্ত নিরাপদ।যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।