নাজমুল হোসেন, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাজা টংনাথের রাজবাড়ী, জগদল জমিদারী ও হরিপুর উপজেলার রাজবাড়ী পরির্দশন করেছেন পত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাবিনা আলম।শনিবার (৫ আক্টোবর) হরিপুর উপজেলার রাজবাড়ী ও রাণীশংকৈল উপজেলার রাজা টংকনাথের রাজবাড়ী পরির্দশন করেন। সেখানেই সংক্ষিপ্তভাবে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, রাজবাড়ীগুলো ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতিক। এগুলো সংস্কার করা জরুরী। তিনি বলেন ইতিমধ্যে রাজা টংকনাথের রাজবাড়ী সংস্কারের কাজ চলছে। পর্য়ায়ক্রমে তিনটি রাজবাড়ী সংস্কার করে এগুলোকে যাদুঘর হিসাবে রুপান্তর করা হবে। তিনি রাজবাড়ীগুলো সংরক্ষন ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। পরিশেষে তিনি বলেন, রাজবাড়ীগুলো অব্যশই সংস্কার করে দ্রুত যাদুঘরে রুপান্তর করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।আমরা আশা করি এইসব রাজবাড়ী যদি সংস্কার করে যাদুঘর করা হয় তবে এখান থেকে সরকারের অনেক রাজস্ব আয় হবে মনে করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাব সভাপতি মোবারক আলীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন-রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম,তাজহাট জমিদার বাড়ীর কাস্টোডিয়ান খায়রুল বাসার স্বপন,(রংপুর) কান্তনগর প্রত্নতাত্বিক যাদুঘরের সহকারী কাস্টোডিয়ান শিহাব হোসেন (দিনাজপুর) প্রমূখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন, মহাপরিচালকের বোন সাবেক প্রধান শিক্ষক উম্মেশ সালমা, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সুমন আলী,বাচোর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আনসারুল ইসলাম,রাজবাড়ী সংস্কার কমিটির সদস্য সাংবাদিক নাজমুল হোসেন, সিজান মাহামুদ,মিলন হোসেন,হারুন অর রশিদ,অবিশেক রায়, সাংবাদিক বিজয় রায় সহ স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, এসব রাজবাড়ী দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়েথাকায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শুভ হাইকোর্টে রিট করায় প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের নজরে আসে। ফলে শুরু হয় সংস্কার কাজ।