ঢাকারবিবার , ৬ অক্টোবর ২০২৪
  1. আইন-আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কুড়িগ্রাম
  5. কৃষি
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. খেলা
  9. গাইবান্ধা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. ঠাকুরগাঁও
  13. তথ্যপ্রযুক্তি
  14. দিনাজপুর
  15. নীলফামারী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাণীশংকৈলে শেষ সময়ে মন্ডপে মন্ডপে রংতুলিতে ব্যস্ত প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা

একদিন ডেস্ক
অক্টোবর ৬, ২০২৪ ৩:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাণীশংকৈল প্রতিনিধি: সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ব্যস্ত ততই রংতুলির কারিগররা। দুর্গাপূজার উৎসবকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ছোট বড় প্রতিটি পূজা মন্দিরে চলছে প্রতিমায় রং তুলির সাজসজ্জার কাজ। উৎসব যতই নিকটে ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা। আগামী ৮ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা।অপর দিকে ১২ অক্টোবর বির্সজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দশমীর দিন পুজার সকল আনুষ্ঠানিকতা।

রাণীশংকৈল উপজেলার পৌর শহরের শ্রী শ্রী গোবিন্দ মন্দির, কলেজ পাড়া মন্দির,গুদরী বাজার হাটখোলা মন্দির,শ্রী শ্রী পিপুলতলা মন্দির সহ নন্দুয়ার ইউনিয়নের শ্রী শ্রী বলিদাড়া দুর্গা মন্দির, ঘুঘুডাড়া শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, মন্দির গুলোতে চলছে শেষ মহুর্তে প্রতিমায়, রঙ-তুলি ও সাজসজ্জার প্রস্তুতি। রংতুলির পাশিপাশি অনেক মন্দিরে শিল্পী ও কারিগরদের নিপুণ হাতের তৈরি প্রতিমায় চলছে রং সহ অলঙ্কার দিয়ে প্রতিমাকে সাজসজ্জা করানোর কাজ। এ ছাড়া মন্দিরের চার পাশে পরিস্কার পরিছন্নতা বাঁশ,কাঠ,ককশীটসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড় ও রঙ ব্যবহার করে মণ্ডপ সাজিয়ে তোলার কাজ করা হচ্ছে।কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে ছাউনি ও মিউজিক বাতি দিয়ে গেট তৈরির কাজ। পুঁজোকে সামনে রেখে শহরের থেকে গ্রামের সকল ডেকোরেশন ও ইলেকট্রনিক সাউন্ড সিস্টামের দোকানের কারিগরদেরও বেড়েছে প্রচুর ব্যস্ততা।

পৌর শহরের শী শ্রী পিপুল তলা মন্দিরের প্রতিমা তৈরির কারিগর শ্রী কান্ত পাল বলেন, প্রতি বছর দুর্গাপূজার এই সময়ে তাদের কাজ বেড়ে যায়, প্রতি বছরের মতো এ বছরও তাদের কাজ বেড়েছে আমি নিজেও ৪ মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছি। তবে রাত-দিন একাকার করে কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিমা তৈরি করে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সামনে সময় মতো সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিয়ে কমিটিরকাছে বুঝিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের সার্থকতা লাভ। তবে প্রতিমা তৈরির জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিগত সময়ের মতো তাদের তেমন একটা লাভ হয় না বলে জানান এই প্রতিমা তৈরির কারিগর।

উপজেলার ভকরগাঁও গ্রামের শ্রী ভাদরু রায়,গুয়াগাঁও গ্রামের হরিদাস,ভুপেন সহ অনেকেই জানায়,এবারো পুজায় কোন রকম সমস্যা হবে না আমাদের মন্দির গুলোতে,আমরা আগের মতোই আনন্দ করতে পারবো।তবে অনেকেই আবার বলছেন আমাদের নিজেদের কে একটু নিজেই সর্তক থাকা লাগবে।
তবে বলিদারা গ্রামের বিমল চন্দ্র রায় সহ ঘুঘুডারা গ্রামের এক হিন্দু নারী বললেন একটু ভিন্ন কথা তারা বলছেন,আমাদের পুজা মন্ডপের পাশাপাশি আমরা আমাদের বাড়ি ঘর নিয়ে একটু চিন্তিত কারণ প্রশাসন তো মন্ডপ পাহাড়া দিবে কিন্তু বাড়ি ঘরের যদি কেউ হামলা করে সেটা নিয়েই একটু চিন্তিত রয়েছি আমরা।

অপর দিকে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা রজব আলী বলেছেন,হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা যেন আগের থেকেও ভালোভাবে তাদের পুজা পালন করতে পারে সেজন্য দরকার হয় আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তাদের পুজা মন্ডপ গুলো পাহাড়া দিবো ইনশাআল্লাহ। রাণীশংকৈল উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ছবি কান্ত দেব বলেন,এ উপজেলায় ছোট বড় মিলে মোট ৫৪ টি মণ্ডপে পুজো অনুষ্ঠিত হবে।তবে বর্তমানে পূজামণ্ডপে গুলোতে পুরোদমে চলমান রয়েছে প্রতিমা তৈরি ও দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জার কাজ।তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে শারদীয় দূর্গাউৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে ঠাকুরগাঁওয়ের নবাগত জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা সকল পুজা মন্ডপের নেত্রীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ জয়ন্ত কুমার সাহা জানান, পুজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাশাপাশি আনসার সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাবসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

পুজা মন্ডপের নেত্রীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় ঠাকুরগাঁওয়ের নবাগত জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন,আপনাদের কোন ভয় নেই আপনারা যেভাবে আগে পুজার কার্যক্রম করে এসেছেন ঠিক সেভাবেই পালন করবেন কোন কমতি থাকবে না।আপনাদের প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করবে, ভয়ের কোন কারণ নেই।