হিলি প্রতিনিধিঃ দেশের বাজারে আলুর দাম কমে গেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। এমতাবস্থায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত দু’দিন ধরে ভারত থেকে আলু আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ১২৫ মেট্রিক টন আলু আমদানি হওয়ার পর আর আমদানি হয়নি এই বন্দর দিয়ে। শনিবার (১০ ফেব্রয়ারি) আলু আমদানি বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক।
এদিকে, আমদানিকারকেরা বলছেন, দেশের বাজারে দাম কমে যাওয়ায় আলু আমদানি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই তারা আলু আমদানি বন্ধ রেখছেন। সেই সঙ্গে আলু আমদানিতে শুল্ক প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
হিলি বন্দরের আলু আমদানিকারকের প্রতিনিধি মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমতি পাওযার পর হিলি দিয়ে আলু আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। তবে দেশের বাজারেই আলুর দাম কম থাকায় লোকসান হচ্ছে আমদানিকারকদের। সরকার আলু আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করলে আমদানিকারকেরা উপকৃত হতেন। ভারত থেকে আলু আমদানিতেও উৎসাহিত হতেন।’
আমদানিকারক আহমেদ মো. কবির বাবু বলেন, ‘ভারত থেকে আলু আমদানির শুরু হওয়ার পর থেকে দেশি আলুর দামও কমতে শুরু করেছে। তাই ভারত থেকে আলু আমদানি করে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। আপাতত অলু আমদানি বন্ধ রেখেছি। দাম বাড়লে ভারত থেকে ফের আলু আমদানি শুরু করবো।’
হিলি উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘দেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে হিলি বন্দরের ৫২ জন আমদানিকারক ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানির অনুমতি পান। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে হিলিবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকরা।’
ইউসুফ আলী আরও বলেন, ‘শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ৪ দিন ভারত থেকে আলু আমদানি করেন এ বন্দরের আমদানিকারকেরা। তারপর থেকে আলু আমদানি বন্ধ আছে।’ হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, আমদানি শুরুর ৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪ দিনে এই বন্দর দিয়ে ৬৫৫ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে ।