ফেভারিট হিসেবে এশিয়ান কাপে অংশ নিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। সেমিফাইনালেও উঠেছিল তারা। প্রতিপক্ষ ছিল জর্ডান, যারা র্যাঙ্কিংয়ে তাদের চেয়ে ৬৪ ধাপ পেছনে। সেই দলটিই ঘটিয়ে দিলো এই আসরের সবচেয়ে বড় অঘটন।
তাজিকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবার সেমিফাইনালে উঠেই ইতিহাস গড়েছিল জর্ডান। নিশ্চিতভাবে তাদের নিয়ে প্রত্যাশা কম ছিল ফুটবলভক্তদের। সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ দল যে অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে। দক্ষিণ কোরিয়ায় আছে ইউরোপিয়ান ফুটবল দাপিয়ে বেড়ানো সন হিউং মিন। তার রাত কাটলো হতাশায়। ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যানের শক্তিশালী দলকে হারিয়ে দিলো জর্ডান। আর ১৯৬০ সালের পর প্রথম ট্রফি জয়ের জন্য কোরিয়ানদের অপেক্ষা আরও বাড়লো।
মঙ্গলবার কাতারের আল রায়ানে অবস্থিত আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জর্ডান। তাদের সামনে দাঁড়াতে বুধবার আরেক সেমিফাইনালে লড়বে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কাতার এবং তিনবারের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইরান।
দক্ষিণ কোরিয়া বল দখলে রাখলেও আক্রমণ ও সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল জর্ডান। তারই পুরস্কার তারা পায় দ্বিতীয়ার্ধে। দক্ষিণ কোরিয়া বলের দখল হারালে ৫৩তম মিনিটে টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় গোলের দেখা পান ইয়াজান আল নাইমাত।
কাতারে চার ম্যাচে হারার মতো অবস্থায় ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তারপরও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তারা। কিন্তু এবার পারেনি। ৬৬তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত শটে দক্ষিণ কোরিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন মুসা আল তামারি।
নাইমাত ও তামারির গতি ও শক্তির সঙ্গে আর পেরে ওঠেনি দক্ষিণ কোরিয়া। শেষ বাঁশি বাজতেই অবিশ্বাসী চোখে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সন। আর জর্ডানের হাজারো সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। পুরোটা সময় তারা তাদের দলকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন।
টুর্নামেন্টে একমাত্র দল হিসেবে এখন জর্ডানই টিকে রইলো, যারা কখনও এশিয়ান কাপের ট্রফি জিততে পারেনি। আগামী শনিবার সেই আক্ষেপ ঘুচানোর অপেক্ষায় দলটি।